প্রিয় সহকর্মীর বিদায় উপলক্ষে কিছু কথা (বিদায়ী ভাষণ)
সকলকে শুভেচ্ছা। আজ আমরা এখানে একজন বিশেষ ব্যক্তিকে বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছি। আমাদের প্রিয় সহকর্মী সজীব সাহেব আজ তার চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন। বিদায়ের কথা শুনে খারাপ লাগছে, কিন্তু এটাই জীবনের নিয়ম।
আজ আমাদের প্রিয় সজীব স্যারের বিদায়ের দিন। ৩৫ বছর ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার পর, তিনি আজ থামছেন। এটি কেবল একটি চাকরির সমাপ্তি নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের সমাপ্তি। তার বিদায় আমাদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
এটা ভাবতেই খারাপ লাগে যে তিনি আর আগের মতো প্রতিদিন আমাদের সাথে থাকবেন না। কিন্তু জীবনে এমনটা ঘটে। কিছুদিন পর সবাইকে চাকরি ছেড়ে যেতে হয়। সময় চলে যায়, কিন্তু স্মৃতি থেকে যায়।
সজীব স্যার কেবল আমাদের সহকর্মীই ছিলেন না, তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন। তিনি নিজেও আমাদের সকলকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে আলো দেখিয়েছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের যতটা ভালোবাসতেন, ততটাই তাদের শাসন করতেন। তাঁর সময়ানুবর্তিতা, দায়িত্ববোধ এবং ভালো আচরণ তাকে সকলের কাছে প্রিয় করে তুলেছিল। সহকর্মী হিসেবেও তিনি অসাধারণ ছিলেন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি জায়গায় স্যারের স্মৃতি বিজড়িত। তাঁর কাজের ছাপ সর্বত্র। তিনি কেবল আমাদের একজন সহকর্মী ছিলেন না, বরং একজন অভিভাবকের মতো ছিলেন। নতুন প্রজন্মের কর্মী হিসেবে, আমরা তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগবে।
যদিও বিদায় জানানো কঠিন, তবুও এটা ভাবতে ভালো লাগছে যে স্যার এখন তাঁর জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। এখন তিনি তাঁর পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে পারবেন, নিজের জন্য সময় বের করতে পারবেন। আমরা চাই তাঁর আগামী দিনগুলি শান্তিতে এবং ভালোবাসায় কাটানো হোক।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন:
"আমি তাকে যেতে দিতে পারি না, কিন্তু আমাকে তাকে যেতে দিতে হবে, কিন্তু তিনি চলে যান।"
স্যার, আপনি সর্বদা আমাদের মনে থাকবেন। আপনার দেখানো পথ আমাদের কাজকে অনুপ্রাণিত করবে। আপনার ভবিষ্যৎ জীবন আনন্দ এবং শান্তিতে ভরে উঠুক।
সবাইকে ধন্যবাদ।